শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০৭:৫৭ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
চিতলমারী উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের কর্মী সম্মেলন চিতলমারীতে ধর্ষনের শিকার এক বিবাহিত নারী চিতলমারীতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ  চিতলমারীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানে ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত ইসলামী আন্দোলন নেতা মুজিবর রহমান শামীম এর পবিত্র হজ¦ব্রত পালন উপলক্ষ্যে দোয়া মাহফিল। চিতলমারীতে খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার শিক্ষা ও আইসিটি এর মত বিনিময় সভা চিতলমারীতে দলিল লেখকগণের শুদ্ধাচার নৈতিকতা ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক অভ্যন্তরিন প্রশিক্ষণ চিতলমারী উপজেলা ভূমি মেলা ২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জরুরি বৈঠক প্রধান বিচারপতির ‘পদত্যাগ করতে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পা ধরেছিলেন শেখ রেহানা’

ঘুষ বানিজ্যের সেরা প্লেয়ার ; স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর ও মূর্তিমান আতঙ্কের নাম এসআই নুরুল আলম

রিপোর্টারের নাম / ২১১ টাইম ভিউ
আপডেট সময়: শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০৭:৫৭ অপরাহ্ন

ঘুষ বানিজ্যের সেরা প্লেয়ার ;
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর ও মূর্তিমান আতঙ্কের নাম এসআই নুরুল আলম
মোঃ একরামুল হক মুন্সী:
বাগেরহাটের চিতলমারী থানার এস আই নুরুল আলমের বিরুদ্ধে নিরিহ মানুষ ধরে এনে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। থানায় আটক রেখে এবং মামলার ভয় দেখিয়ে তিনি করছেন ঘুষ বানিজ্য। লাখ টাকা আদায়েরজন্য ডেভিল হান্ট মামলায় চালানের ভয় দেখিয়ে, গভীররাতে ১০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহনের পর ছেড়ে দেবার নিদৃষ্ট অভিযোগ ছাড়া তার বিরুদ্ধে চিতলমারী প্রেসক্লাবে বেশ কিছু দুর্ণীতির অভিযোগ আসার পর, গুগোল সার্জ দিতে কেঁচো খুড়তে বেরিয়ে আসে কেউটে। জানা গেছে, ঢাকার মিরপুরে বিগত শেখ হাসিনার আমল ও জুলাই বিপ্লবের আন্দোলনে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম ছিলো এসআই নুরুল আলম। ডিএমপি দারুল সালাম থানার সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা থাকাকালিন টাকার বিনিময়ে ভিন্ন মতাদর্শের রাজনীতি করা ছাত্র ও যুবকদের ধরে নিয়ে আসতেন এসআই নুরুল আলম। করতেন মোটা অংকের টাকা দাবী, টাকা না দিলে বিএনপি জামায়তের ট্যাগ লাগিয়ে জ্বালাও পোড়াও মামলায় চালান দিতেন।
তার কথা না শুনলে মাদক সহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতেন স্থানীয়দের । চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে না পারলে জোর করে নেওয়া হতো মোবাইল, অনেকে পরে টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিতো। সূত্রঃ ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক সকালের সময় এর ২৩/১০/২০২৪ তারিক মহানগর পাতা।
শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতায় বেড়ে ওঠা অনেক পুলিশ অফিসার ৫ আগষ্টের পর বদলী হয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। যেমন বাগেরহাটের চিতলমারী থানায় এসেছেন এস আই নুরুল আলম।
তার ব্যপারে উপজেলার কচুড়িয়া উমাজুড়ি গ্রামের মৃতঃ দেলোয়ার হোসেন শেখ এর ছেলে দিন মজুর মোঃ আজিজুল হক শেখ আমার দেশকে জানান, পেশায় তিনি একজন খেয়া ঘাটের মাঝি। বাবা মারা গেছেন অনেক আগে, মা-যতদিন বেঁচে ছিলেন তাদের ভিক্ষা করে খাওয়াতেন। মায়ের মুত্যুর পর অভাবের সংসারে তিনি একাই উপর্জন করেন, প্রতিবন্ধি ভাই, স্ত্রী ও শিশু মেয়েদের নিয়ে, খেয়ে না, খেয়ে জীবিকা চলে তার পরিবারের।
সামান্য বশত ভিটা থাকলেও তা গ্রাস করতে চায় কচুড়িয়া গ্রামের প্রভাবশালী আবেদ আলী গং চক্র। প্রতিটি মামলায় হেরে গিয়েও নতুন-নতুন মিথ্যা মামলায় হয়রানি করে আসছেন ভূমি খেকো আবেদ আলী। এ সকল ঘটনার ধারাবাহিকতায় কয়েকদিন আগে ভুক্তভেগি আজিজুলের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন আবেদ আলী। তদন্তের জন্য থানার এস আই নুর আলম সরাসরি বাদী আবেদ আলীর বাড়ী আসেন। দীর্ঘ সময় তিনি সে বাড়ীতে অবস্থান করেন। থানায় ফেরার পথিমধ্যে আজিজুল শেখের বাড়ীর সামনে দাঁড়ান এস আই নুর আলম।
বেশ কিছু লোক সেখানে জড়ো হয়। যার মধ্যে আজিজুল শেখের চাচা সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় চাচা ভ্যান চালক আলমগীর শেখকে এস আই নুর আলম বলেন, বাচ্চাটাকে কারো কোলে দাও, তুমি আমার সাথে থানায় চলো। কি কারনে থানায় যেতে হবে প্রশ্ন করলে এস আই নুর আলম বলেন চলো জানতে পারবে। থানায় এনে তাকে বলা হয় তুমি সন্ত্রাসী তোমাকে ডেভিল হান্টে চালান দেয়া হবে। তবে রক্ষা আছে ১লক্ষ টাকা দিলে। প্রথমে ১লক্ষ টাকা, দ্বিতিয় বার ৪০ হাজার এরুপ দর কশাকশির এক পর্যায় রাত ১টার সময় এস আই নুর আলম ১০ হাজার টাকা আমার কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে কাকাকে মুক্তিদেন। এ সময় আজিজুলের কাকিমা সাথে ছিলেন বলে জানায়। আজিজুল আরো জানান টাকাগুলো তার কাকি ধার- দেনা করে আনে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *