শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০৭:৪৬ অপরাহ্ন
অন্তরালে নিউজ ডেস্ক:
বাগেরহাটের চিতলমারীতে সদ্য বিবাহিতা গৃহ বধুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৬ মে) ভোরে উপজেলার চর কচুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষিতার ডাক্তারী পরিক্ষা সম্পন্ন হলেও ধর্ষক এখনও অধরা রয়েছে। সরেজমিনে ধর্ষিতা ও তার স্বামীসহ এলাকাবাসী জানান, ঘটনার আগের দিন সকালে ধর্ষিতার (অষ্টাদর্শীর) স্বামীকে একই গ্রামের মোখলেছ শেখের ছেলে এমরান শেখ (৩০), তার জমিতে মাটি কাটার কাজের জন্য ঠিক করে। সে কারনে ভোর বেলা ধর্ষিতার স্বামী এমরান শেখের জমিতে কাজে জায় এবং কাজে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী অসুস্থ থাকায় তাকে ঘরের দরজা দিয়ে ঘুমোতে বলেন।
এই ফাঁকে ধর্ষক এমরান শেখ (অষ্টাদর্শী) ধর্ষিতার নির্জন বাড়ীতে হাজির হয় এবং তার ঘরের দরজার খিল জানালার ভিতর দিয়ে লাঠিভরে খুলে ফেলে কিন্তু নাইলনের রশি দিয়ে বাঁধার কারনে দরজা না খোলায় ম্যাচলাইটের আগুন দিয়ে রশি পুড়িয়ে সে, ঘরের ভিতর ঢুকে পড়ে। আবার ভিতর থেকে দরজা চেপে রাখে। এ সময় মশারির ভিতর কম্বল গায়ে ঘুমন্ত নববধূর শরিরে হাত দেয় লম্পট এমরান। ঘুম ভেংগে যায় তার, কিছু বুঝে উঠার আগেই এমরান তাকে জড়িয়ে ধরে ও তার স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দেয়।
এ সময় এমরান শেখ এর কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে চেস্টা করে ব্যার্থ হয় কিন্তু অতি চালাক এমরান শেখ তখন কম্বল দিয়ে তার মুখ চেপে ধরে এবং তার ওড়না দিয়ে হাত মুখ ও পা বেঁধে ফেলে। পরবর্তীতে এমরান শেখ তার গায়ের জামা ও পরনের কাপড় খুলে বিবস্ত্র করে ও জোর পূর্বক ধর্ষন করে। ধর্ষন শেষে তার নিজস্ব মোবাইল ফোনে বিবস্ত্র ভিডিও এবং ছবি করে নেয়। বিষয়টি কাউকে জানালে এই ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দিবে এবং তাকে ও তার স্বামিকে সারা জীবনের মত শেষ করে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে দ্রæত স্থানত্যাগ করে।
ঘটনার পর ৯৯৯ এ ফোন দিলে চিতলমারী থানা পুলিশ উপস্থিত হয় ও ভিকটিমকে থানায় নিয়ে আসে। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য হানিফ শেখ ও তার লোকজন মিট মিমাংসার প্রস্তাব দিলে তা না-কোচ করে দেন ভিকটিম (অষ্টাদর্শী) ধর্ষিতার স্বামী বলেন, গরিব বলে কি আমরা এর বিচার পাবোনা! আমিও আমার স্ত্রী ঐ ধর্ষক এমরান শেখের ফাঁসি চাই। এলাকাবাসীও ধর্ষক এমরান শেখের সর্ব্বোচ্চ বিচার দাবি করেছেন।
চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম শাহাদৎ হোসেন জানান, থানায় মামলা হয়েছে, ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আসামী গ্রেপ্তারের জোর তৎপরতা চলছে।