মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:১২ অপরাহ্ন
মোঃ একরামুল হক মুন্সী:
শৈল্পিক কারুকাজ আর অপূর্ব নির্মাণ শৈলীতে দৃষ্টিনন্দ হয়ে উঠেছে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার নবনির্মিত শিব মন্দির। পুরো মন্দিরটিতে দেয়া হয়েছে সাদা রং। তিনতলা বিশিষ্ট মন্দিরটি দেখলে মনে হবে পেছনের মেঘালা আকাশটি একাকার হয়ে মিশে গেছে মন্দিরকে আরো নান্দনিক করতে। দৃষ্টিনন্দন এই মন্দিরটি এক নজর দেখতে হলে আসতে হবে, চিতলমারী শেরে বাংলা কলেজ হয়ে নিবারণ পাগলের মোড়ে। ওখান থেকে ৭১ এর বদ্ধভূমি সড়কের বাম পার্শ্বে শিব মন্দিরটি অবস্থিত।
প্রধান ফটকের সামনে চোখে পড়বে একটি কালী মন্দির। মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্কিম চন্দ্র অধিকরী (৭৫), পিতা প্রায়ত: চৈতাণ্য অধিকারী, পেশায় একজন হোমিওপ্যাথিক চিৎিসক। বঙ্কিম জানান মন্দিরের প্লেন ডিজাইন, নির্মাণকাজ তদারকি করেছেন তিনি নিজে। ১৩০ফুট দৈর্র্ঘএবং ১২০ ফুট প্রস্থসহ ৫৩ শতক জমির উপরে এই মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে। তিনতলা বিশিষ্ট মন্দিরের চার পাশের দেওয়ালে রয়েছে বঙ্কিম চন্দ্র অধিকরীর নিজ হাতে তৈরি পৃথীবির বড়-বড় মনিষিদের মূর্তিসহ পশু-পাখি, জীববৈচিত্র্যের আকর্ষনীয় শিল্পকর্ম।
বঙ্কিম অধিকরী “চিতলমারীর অন্তরালে” কে জানান তিনি ২২ বছবেরর সঞ্চয়ের অর্থে এই মন্দির নির্মান করেছেন। তার বিয়োগান্তে যাতে সব জাতের মানুষ তাকে স্মরণ রাখেন এই কামনাই তার। তিনি আরো জানান, তিনি এবং তার নিঃসন্তান স্ত্রী সবিতা অধিকারীর ঐকান্তিক চিন্তাভাবনায় এই মন্দির নির্মন করা হয়। যা সাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এখানে রয়েছে কার্যকারী কমিটি।
প্রতিষ্ঠাতা আরো জানান, তার বিয়োগান্তে যদি স্ত্রী সবিতা অধিকারী বেঁচে থাকেন, তবে তিনি এবং কমিটির লোকজন এটা রক্ষনাবেক্ষণ করবেন। বঙ্কিম বলেন, আমার স্ত্রীর নামে মন্দিরের সামনের বাম দিকে রয়েছে সবিতা স্নান ঘাট, ডান দিকে রয়েছে আমার মায়ের নামে “ফুলমালা ভোজনালয়” এর উপরে রেস্ট হাউজ।
সর্বশেষ তিনি বলেন হিন্দু-মুসলিম জাতিভেদা-ভেদ আমি বুঝিনা। আমি মনেকরি সকলে আমরা মানুষ। আর মানবতাই পরম ধর্ম। তিনি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জাতি ধর্মের দর্শনার্থীদের এখানে এসে মন্দির কমপ্লেক্সের সৌন্দর্য উপভোগ করতে উদত্ত আহ্বান জানান।