বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
চিতলমারীতে মাসিক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত  একজন বাবা “একরামুল হক মুন্সী” চিতলমারীতে সরকারী বীজ বিতরণ ‎ আমি আপনাদেরই সন্তান, আপনাদের সেবা করতে চাই: মোল্লা মুজিবর রহমান শামীম ‎কোডেক ক্লাইমেট চেইঞ্জ অ্যাডাপটেশন প্রজেক্টের উদ্যোগে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা সেবা মাদকমুক্ত সমাজ ও কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিলেন ইঞ্জি: মাসুদ রানার হিজলায় উঠান বৈঠক: তারেক রহমানের ৩১ দফায় ঐক্যের আহ্বান ‎চিতলমারীতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মতবিনিময় সভা: আন্দোলন বেগবান করতে কমিটি গঠন চিতলমারীতে গাঁজাসহ নারী আটক  প্রত্যাশিত সংস্কার না হলে দেশের অনিয়ম ও দূর্নীতি রোধ করা সম্ভব নয়: কুষ্টিয়ায় বিআরপি’র কর্মী সমাবেশ নেতৃবৃন্দরা

চিতলমারীর রাজনীতি ‘যদি উচিৎ কথাকই সবাই বলবে আমি মোটেই ভালো মানুষ নই’

রিপোর্টারের নাম / ৭২৪ টাইম ভিউ
আপডেট সময়: বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন

 

মোঃ একরামুল হক মুন্সী:

বীর উত্তম শহীদ জিয়ার সৈনিকদের উদ্দেশ্যে নকুল বিশ্বাসের একটি গানের উক্তি দিয়ে দুটি কথা বলতে চাই। গানটি হলো “যদি উচিৎ কথা কই সবাই বলবে আমি মোটেই ভালো মানুষনই”। তবে ভালো হতে পয়শা লাগেনা কিবা আমি অথবা আপনি। শুধু চরিত্রটা পরিবর্তন করা দরকার। এখন মুখে বললাম আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের আদর্শের সৈনিক। ২মাস পর যদি দেখা যায় আওয়ামী লীগের পদধারি নেতার পাশে বসে তথাকথিত জাতীরজনকের নামে শ্লোগান দিয়ে মাঠ কাপাচ্ছি, কিংবা নেতাকমীদের সাথে মুজিবকোট পরে মিটিং করছি। এধরনের পল্টিবাজরা কি জিয়ার সৈনিক হতে পারেন? হ্যাঁ তাদেরইতো চিতলমারী বিএনপিতে জামাই আদর করে পাশে বসানো হচ্ছে। এটা আগামির রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের ৩১দফা লংঘনের সামিল কি না বিএনপি পাগল মানুষেরা জানতে চান। দলীয় শৃঙ্খলা ও নীতিমালা উপেক্ষাকরে নিজ স্বার্থ চরিতার্থে একতরফা ভোটের আশায় আওয়ামী স্বৈরাচার- দোসরদের চিতলমারী ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে।

প্রিয় দর্শক উপরের লাল রঙের গোলাকৃতি ছবিটির দিকে লক্ষকরুন। ওনি হচ্ছেন সদ্য নির্বাচিত উপজেলা বিএনপির সভাপতি মমিনুল হক টুলু বিশ্বাসের রাজনৈতিক গুরু। বিভিন্ন ফোরামে  তিনি এ কথাটি বলে আসছেন। আমার প্রশ্ন আপনি যদি ওই ভদ্রলোকের শিষ্যহয়ে থাকেন তবে বিগত ১৭ বছর ধরে আওয়ামী পৃষ্ঠপোষকতায় তিনি আরাম অয়েশে দিন কাটালেন আর আপনি মামলা,হামলাসহ জেল খাটলেন কেন?। অপনিতো গুরুর সাথে আওয়মী লীগের ওই সকল নেতারে পাশে বসতে পারতেন, সেই সুযোগটুকু কাজে লাগাননি কেন ?। কাজে যদি নাই লাগিয়েছেন তবে বিএনপির এই মাহেন্দ্রক্ষনে ওই আওয়ামী দালালদের কেন দলের সদস্যপদ দিলেন। কেন সদর ইউনিয়নের ৪৪ নম্বর ভোটার বানিয়ে ভোট প্রয়োগের সুযোগ করে দিলেন?।

আর বিএনপির পোড় খাওয়া ত্যাগি অনেক নেতাকর্মীদের বাদ রেখে হীন-মনমানুসিকতার বহি: প্রকাশ ঘটালেন। আমারা ভোটের আগে আপনাদের মুখে শুনেছি বিজয়ী হলে দলের নীতি আদর্শ মেনে চলবো। তারেক রহমানের ৩১দফা বাস্তবায়ন করবো ; দালাল মুক্ত চিতলমারী গড়বো ইত্যাদি। আসলে কি দালাল মুক্ত চিতলমারী গড়তে চেয়ে ছিলেন নাকি দালাল যুক্ত কমিটি করতে যাচ্ছেন। লাল বৃত্ত দেয়া আপনার গুরুর ছবিটার দিকে একটু তাকিয়ে দেখুনতো। ওই লোকটিতো আওয়ামী দালাল।আওয়ামী এসব দালাল নিয়ে যে কমিটিগুলো ওয়ার্ড পর্যায় থেকে থানা পর্যায় করেছেন বা করতে যাচ্ছেন, তাকি তারুন্যের অহংকার আগামীর দেশ নায়ক তারেক রহমান মেনে নেবেন?। হয়তো বলবেন আপনি সাংবাদিক মানুষ কেন এত লেখা-লিখি। হ্যাঁ আমি সাংবাদিক ; আমার লেখনীতে নিরপেক্ষতা থাকতে হবে। তবে আমিযে কোন দল করতে পাবোনা এটা সঠিক নয়। এ কথা গনতন্ত্রের চর্চানয়। আমি শহীদ জিয়ার দল করি। আমি ও আমার পরিবার আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দল করি। আমরা দেশ নায়ক তারেক রহমানের দলকরি। দলেরজন্য আওয়ামী দোসরদের হিংসার বশিভূত হয়ে ( মিথ্যা) সাইবার ক্রাইমসহ বিভিন্ন মামলা-হামলার স্বীকার হয়েছি। আমাদেরকে দলে মূল্যয়ন করা হচ্ছেনা। মূল্যায়ন হচ্ছে অনেক আওয়ামী হাইব্রিড দালাল গুলোকে। চিতলমারীতে যে সকল জিয়া পাগল নেতাদের সঠিকস্থানে মূল্যায়িত করা হয়নি। তাদের দ্রæত মূল্যায়ন করা হোক এটাই প্রত্যাশা রেখে শেষ করছি। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ; শহীদ জিয়া অমর হোক।  –


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *