শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
চিতলমারী উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের কর্মী সম্মেলন চিতলমারীতে ধর্ষনের শিকার এক বিবাহিত নারী চিতলমারীতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ  চিতলমারীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানে ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত ইসলামী আন্দোলন নেতা মুজিবর রহমান শামীম এর পবিত্র হজ¦ব্রত পালন উপলক্ষ্যে দোয়া মাহফিল। চিতলমারীতে খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার শিক্ষা ও আইসিটি এর মত বিনিময় সভা চিতলমারীতে দলিল লেখকগণের শুদ্ধাচার নৈতিকতা ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক অভ্যন্তরিন প্রশিক্ষণ চিতলমারী উপজেলা ভূমি মেলা ২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জরুরি বৈঠক প্রধান বিচারপতির ‘পদত্যাগ করতে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পা ধরেছিলেন শেখ রেহানা’

ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য

রিপোর্টারের নাম / ২০ টাইম ভিউ
আপডেট সময়: শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন

রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। মাঝখানে এমন একটা অবস্থা তৈরি হয়েছিল যে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে মধ্যরাতে সাংবাদিক ডেকে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে হয়েছে। নিয়মিতভাবে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই হচ্ছে, এমনকি হত্যাকাণ্ডও সংঘটিত হয়েছে। জানা গেছে, রাজধানীতে ৫০ থানা এলাকায় ছিনতাইকারীদের ৪৩২টি হটস্পট রয়েছে। এসব জায়গায় সক্রিয় রয়েছে ১২শ ছিনতাইকারী। দুর্বৃত্তরা চলন্ত বাস, প্রাইভেট কার থেকে মোবাইল ফোন, কানের দুল, গলার চেইন টেনে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় প্রকাশ্যে ছুরি, চাকু, চাপাতি বা পিস্তল ধরে নগদ টাকা, মূল্যবান সামগ্রী কেড়ে নিচ্ছে। বাধা দিলেই তারা প্রতিঘাত করছে। অবশ্য এখন আর কেউ প্রাণের ভয়ে বাধাও দিচ্ছে না।

অবশ্য দিনে দিনে মানুষ এতটাই ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছে যে, অনেক জায়গায় দলবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। অনেক ক্ষেত্রে হাতে তুলে নিচ্ছে আইন। ছিনতাইকারীদের ধাওয়া দিয়ে ধরে গণধোলাই, পিটিয়ে মেরে ফেলার ঘটনাও রয়েছে। এক কথায় বলা যায়, এ অবস্থায় রাজধানীবাসী চাইছে দ্রুতই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসুক। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাও অবশ্য আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তিনি বিভিন্ন থানায় হঠাৎ উপস্থিত হয়ে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনাও করছেন। অবশ্য এসবের পরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি; বরং বলা যায়, ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। এটা ঠিক, ৫ আগস্টের পর পুলিশের মনোবল ভেঙে গেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির পেছনে মনোবলহারা পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাও যে অনেকটা দায়ী, সেনাপ্রধানও সে কথা স্বীকার করেছেন। পুলিশের এ হারানো মনোবল যে কোনো উপায়ে ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য তাদের দিতে হবে প্রয়োজনীয় প্রণোদনা। সেনাবাহিনীকে যেহেতু ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তাই তাদেরও বিশেষ করে রাজধানীতে আরও বেশি সক্রিয় হতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে মনে রাখতে হবে, সরকারের জনপ্রিয়তা অক্ষুণ্ন রাখতে হলে অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন কেমন, এর স্বরূপ কী, ইত্যাদি বিষয় গভীরভাবে অনুধাবন করতে হবে। দ্বিতীয় কথা, রাজধানীর অপরাধ সম্পর্কে নগরবাসীকেও সচেতন হতে হবে। জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে অশুভ শক্তি পরাজিত হতে বাধ্য। জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে অপরাধীদের মোকাবিলা করলে এবং সেটা অবশ্যই আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে, পরিস্থিতির উন্নতি হবেই। আমরা আশা করব, সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় রাজধানী সব ধরনের অপরাধ থেকে মুক্ত হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *