রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০২:৪২ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
চিতলমারী উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের কর্মী সম্মেলন চিতলমারীতে ধর্ষনের শিকার এক বিবাহিত নারী চিতলমারীতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ  চিতলমারীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানে ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত ইসলামী আন্দোলন নেতা মুজিবর রহমান শামীম এর পবিত্র হজ¦ব্রত পালন উপলক্ষ্যে দোয়া মাহফিল। চিতলমারীতে খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার শিক্ষা ও আইসিটি এর মত বিনিময় সভা চিতলমারীতে দলিল লেখকগণের শুদ্ধাচার নৈতিকতা ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক অভ্যন্তরিন প্রশিক্ষণ চিতলমারী উপজেলা ভূমি মেলা ২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জরুরি বৈঠক প্রধান বিচারপতির ‘পদত্যাগ করতে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পা ধরেছিলেন শেখ রেহানা’

ধর্ষণবিরোধী সমাবেশে প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি, তোপের মুখে ছাত্রী

রিপোর্টারের নাম / ১৩ টাইম ভিউ
আপডেট সময়: রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০২:৪২ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ধর্ষণবিরোধী সমাবেশে প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করায় এক ছাত্রী তোপের মুখে পড়েছেন। রোববার রাত ৮টার দিকে চবির জিরো পয়েন্টে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এই ঘটনা ঘটে।

সম্প্রতি ক্যাম্পাসে বহিষ্কৃত ১০ শিক্ষার্থীর বিষয়ে আলোচিত ঘটনায় বহিষ্কারাদেশপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী সুমাইয়া শিকদারের বক্তব্য ঘিরেই ধর্ষণবিরোধী সমাবেশে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা চলছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, সারাদেশে ধর্ষণের প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছিলেন চবির মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া শিকদার। দীর্ঘ সময় বক্তব্য দেওয়ার পর তিনি চবি প্রক্টরের সমালোচনা করে তার পদত্যাগের দাবি করেন। তাৎক্ষণিকভাবে কিছু শিক্ষার্থী ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দেওয়া শুরু করলে খান তালাত মাহমুদ রাফি এগিয়ে গিয়ে সুমাইয়ার হাত থেকে মাইক নিয়ে নেন।

এরপর রাফি কয়েকবার স্লোগান দিলেও কিছু শিক্ষার্থী ‘ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে রাফি সমাবেশ শেষ ঘোষণা করলে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।

জানা যায়, সারাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণের প্রতিবাদে ‘শিক্ষার্থীবৃন্দ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ ডাকা হয়। এছাড়া, ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিচার এবং ধর্ষণের শাস্তি ফাঁসির দাবিতে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে চবির মেয়েরা’ ব্যানারে মশাল মিছিলের আয়োজন করা হয়। পৃথকভাবে মিছিল শুরু হলেও উভয় ব্যানারের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে জিরো পয়েন্টে সমাবেশ করেন। সেখানেই এই ঘটনা ঘটে।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও সমাবেশের সমন্বয়ক সাব্বির হোসেন রিয়াদ যুগান্তরকে বলেন, ‘মিছিল চলাকালে আমাদের মাইক নষ্ট হয়ে যায়। এরপর জিরো পয়েন্টে এসে সমাবেশ চলাকালে সুমাইয়া শিকদার তার সঙ্গে থাকা একটি হ্যান্ডমাইক ব্যবহার করে নিজেই সঞ্চালনার দায়িত্ব নেন এবং বেশ কয়েকজনের নাম ঘোষণা করে বক্তব্য দেওয়ান। কিন্তু মূল বিষয়বস্তু ধর্ষণের প্রতিবাদ না হয়ে, তারা দুপুরের কর্মসূচি নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন—যেখানে প্রধানত প্রক্টরের পদত্যাগ ও বহিষ্কারাদেশ বাতিলের দাবি উঠে আসে।’

সমাবেশে অংশ নেওয়া এক ছাত্রী বলেন, ‘আমরা গিয়েছিলাম ধর্ষকের বিচার চাইতে, ব্যক্তিগত আলাপ শোনার জন্য নয়। তারা দাবি করছেন, “ভুয়া” স্লোগান পরিকল্পিত ছিল, কিন্তু এটা সত্য নয়।’

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ধ্রুব বড়ুয়া ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সুমাইয়া যখন চবি প্রক্টরের “হানি ট্র‍্যাপ” নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছিলেন, তখনই একটি গোষ্ঠী এক পাশ থেকে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে চিৎকার শুরু করে। এতে সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এবং সুমাইয়ার হাত থেকে মাইক কেড়ে নেওয়া হয়। ‘হানি ট্র‍্যাপ’ প্রসঙ্গটি রাজনৈতিক বলে উল্লেখ করে তা প্রকাশে বাধা দেওয়া হয়। এরকম ঘটনা ছাত্রলীগের আমলেও দেখেছি। সাস্টের ভিসিবিরোধী আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে দেয়ালে লিখতে গেলে আমাদের বলা হয়েছিল, ‘রাজনীতি করতেছো’—এই অজুহাতে বাধা দেওয়া হয়, হুমকিও দেওয়া হয়। প্রতিবাদ দমিয়ে রাখার জন্য এই কৌশল বহুবার ব্যবহার করা হয়েছে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *