মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:০০ অপরাহ্ন
২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার না পাওয়ায় অবশেষে মুখ খুললেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তার দাবি, বিজয়ী ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেত্রী মারিয়া করিনা মাচাদো নাকি পুরস্কারটি তার সম্মানেই গ্রহণ করেছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ অক্টোবর) এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন,
“আজ নোবেলপ্রাপ্ত নেত্রী আমাকে ফোন করে জানালেন, তিনি এই পুরস্কারটি আমার সম্মানে নিচ্ছেন— কারণ প্রকৃতপক্ষে এটি আমারই প্রাপ্য।”
“আমি অবশ্য তাকে বলিনি, ‘তাহলে পুরস্কারটা আমাকে দিন,’”—এ কথা বলতেই উপস্থিত সবাই হাসিতে ফেটে পড়েন।
ট্রাম্পের দাবি, তিনি মাচাদোর আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তার ভাষায়,
“আমি খুশি যে লাখো মানুষের জীবন বাঁচাতে পেরেছি।”
এর আগে, নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া পোস্টে মারিয়া করিনা মাচাদো লেখেন,
“আমি এই পুরস্কারটি উৎসর্গ করছি ভেনেজুয়েলার কষ্টভোগী জনগণ ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে, যিনি আমাদের আন্দোলনে অবিচল সহায়তা করেছেন।”
নিজেকে বহুদিন ধরে “শান্তির প্রেসিডেন্ট” আখ্যা দেওয়া ট্রাম্প বলেন,
“আমি অন্তত আটটি শান্তিচুক্তি করেছি—এর মধ্যে ইসরায়েল-গাজা ও ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার একটি চুক্তিও ছিল। আমার মতো শান্তির রেকর্ড আর কারও নেই।”
তিনি আরও দাবি করেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার এক উত্তেজনাকালীন পরিস্থিতি তিনি বাণিজ্যনীতির মাধ্যমে প্রশমিত করেছিলেন।
তবে এ বক্তব্য ভারত সরকার আগেই অস্বীকার করেছে।
অন্যদিকে, নোবেল কমিটির ভাষ্য অনুযায়ী, মারিয়া করিনা মাচাদোকে এ বছরের শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে “ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবর্তনের ধারাবাহিক সংগ্রামের স্বীকৃতি হিসেবে।”
ট্রাম্পের মন্তব্যে আবারও পুরনো বিতর্ক জেগে উঠেছে—তিনি নিজেই বলেছেন,
“আমাকে অন্তত চার-পাঁচবার নোবেল দেওয়া উচিত ছিল। সবাই জানে আমি তার যোগ্য।”