রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
চিতলমারী উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের কর্মী সম্মেলন চিতলমারীতে ধর্ষনের শিকার এক বিবাহিত নারী চিতলমারীতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ  চিতলমারীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানে ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত ইসলামী আন্দোলন নেতা মুজিবর রহমান শামীম এর পবিত্র হজ¦ব্রত পালন উপলক্ষ্যে দোয়া মাহফিল। চিতলমারীতে খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার শিক্ষা ও আইসিটি এর মত বিনিময় সভা চিতলমারীতে দলিল লেখকগণের শুদ্ধাচার নৈতিকতা ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক অভ্যন্তরিন প্রশিক্ষণ চিতলমারী উপজেলা ভূমি মেলা ২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জরুরি বৈঠক প্রধান বিচারপতির ‘পদত্যাগ করতে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পা ধরেছিলেন শেখ রেহানা’

পুলিশে ফ্যাসিস্টের দোসর

রিপোর্টারের নাম / ১৩ টাইম ভিউ
আপডেট সময়: রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসররা ৫ আগস্টের পর আত্মগোপন করলেও পুলিশের যেসব প্রভাবশালী সদস্য আওয়ামী লীগের শাসনামলে গত সাড়ে ১৫ বছর নানা অপকর্মে সরাসরি সহযোগিতা করেছেন, তারা বহাল তবিয়তে রয়েছেন। দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বেশ সক্রিয় ছিলেন পুলিশের এমন শতাধিক কর্মকর্তা ৫ আগস্টের পর রাতারাতি ভোল পালটে হয়ে গেছেন বিএনপি ও জামায়াতের অন্ধ সমর্থক। সংশ্লিষ্টদের ‘ম্যানেজ’ করে বাগিয়ে নিয়েছেন পুলিশ বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদ। অন্যদিকে মেধা, জ্যেষ্ঠতাসহ প্রয়োজনীয় সব যোগ্যতা থাকার পরও পুলিশের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কর্মকর্তা বিগত সরকারের আমলে বঞ্চিত ছিলেন, তারা এখনো বঞ্চিত আছেন। খোদ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রশ্ন-আওয়ামী লীগের আমলে ভোট ডাকাতির সঙ্গে পুলিশ বাহিনীর যেসব সদস্য সরাসরি জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন?

বিশ্লেষকদের মতে, পুলিশ বাহিনীর যেসব সদস্য বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া না হলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হওয়ার জোরালো আশঙ্কা রয়েছে। পুলিশের একজন কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেছেন, আমরা মর্যাদাশীল একটি পুলিশের অবস্থান চাই। যেখানে সরকার পরিবর্তনের পরও যেন পুলিশের মর্যাদা অক্ষুণ্ন থাকে। অপকর্মের দোসর হয়ে কোনো পুলিশ সদস্যকে যেন পালাতে না হয়। অনেকের অভিযোগ, পুলিশে কর্মরত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার অনুগত ও দোসরদের অসযোগিতার কারণেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে দেরি হচ্ছে। বস্তুত বিগত সরকারের আমলে পুরস্কার পাওয়া পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল থাকলে পুলিশের অন্য সদস্যদের মধ্যে হতাশা দেখা দিতে পারে। কারণ তখন ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদেরই নানাভাবে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। পুলিশে কর্মরত ফ্যাসিস্টের দোসররা ভোল পালটে গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল থাকলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে দেরি হতে পারে।

উল্লেখ্য, জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক ও বর্তমান ৯৫২ পুলিশ সদস্য আসামি হলেও মাত্র ২৮ জনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। ৫ আগস্ট-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশের বয়স সাত মাস হয়ে গেলেও গণহত্যায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের আইনের আওতায় না আনায় নানা প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে। আমরা আশা করি, দেশের স্বার্থে বর্তমান সরকার বিগত সরকারের সব দোসরকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *