রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০২:০৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
চিতলমারী উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের কর্মী সম্মেলন চিতলমারীতে ধর্ষনের শিকার এক বিবাহিত নারী চিতলমারীতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ  চিতলমারীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানে ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত ইসলামী আন্দোলন নেতা মুজিবর রহমান শামীম এর পবিত্র হজ¦ব্রত পালন উপলক্ষ্যে দোয়া মাহফিল। চিতলমারীতে খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার শিক্ষা ও আইসিটি এর মত বিনিময় সভা চিতলমারীতে দলিল লেখকগণের শুদ্ধাচার নৈতিকতা ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক অভ্যন্তরিন প্রশিক্ষণ চিতলমারী উপজেলা ভূমি মেলা ২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জরুরি বৈঠক প্রধান বিচারপতির ‘পদত্যাগ করতে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পা ধরেছিলেন শেখ রেহানা’

প্রকৃতির সুরক্ষায় কাজ করছে মারমেইড

রিপোর্টারের নাম / ১৩ টাইম ভিউ
আপডেট সময়: রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০২:০৪ পূর্বাহ্ন

কক্সবাজারের সাগরতীরে অবস্থিত মারমেইড বিচ রিসোর্ট পরিবেশ ও প্রকৃতির সুরক্ষায় নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। রিসোর্টটি পরিবেশবান্ধব নকশার মাধ্যমে এক অসাধারণ পর্যটন অভিজ্ঞতা প্রদান করে, যেখানে প্রতিটি পদক্ষেপে প্রকৃতির সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে।

রিসোর্টের স্থাপনায় ব্যবহার করা হয়েছে শতভাগ স্থানীয় উপকরণ এবং ইকো-ফ্রেন্ডলি কাঠামো, যা আধুনিক সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষায় সহায়তা করে। সৌরশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আলোকসজ্জা, বৃক্ষরোপণ প্রকল্প এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরিবেশবান্ধব নীতি অনুসরণ করা হয়, যা রিসোর্টটির টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেয়। এর ফলে, মারমেইড বিদেশি পর্যটকদেরও আকর্ষণ করে এবং তাদের পছন্দের শীর্ষে স্থান পেয়েছে।

মারমেইড রিসোর্ট শুধুমাত্র একটি অবকাশ কেন্দ্র নয়। বরং এটি প্রকৃতির সাথে একাত্ম হওয়ার এক বিশেষ সুযোগ। এর পরিবেশবান্ধব নকশা এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা কক্সবাজারে একটি নতুন উদাহরণ তৈরি করেছে।

মারমেইড ইকো টুরিজম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুল হক চৌধুরী সোহাগ বলেন, “আমাদের প্রতিটি স্থাপনা পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অত্যন্ত সচেতনভাবে নির্মিত হয়েছে। মারমেইডের কোন স্থাপনার উচ্চতা আশপাশের গাছপালা থেকে বেশি নয়, যাতে চারপাশের প্রকৃতি চিরকাল সবুজ থাকে।”

রিসোর্টের খাবার প্রস্তুতেও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহৃত হয়, যা গ্রামের মানুষ, বিশেষ করে মেয়েদের জন্য স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ তৈরি করে।

এছাড়া রিসোর্টের কাঠামোতে ব্যবহার করা হয়েছে স্থানীয় উপকরণ, যেমন বাঁশ, পুরনো জাহাজের কাঠ এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান। সৌরশক্তি চালিত আলোকসজ্জা, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিবেশবান্ধবভাবে পরিচালিত হয়।

মারমেইড বিচ রিসোর্ট এখন কক্সবাজার ও পেঁচার দ্বীপের হাজারো মানুষের জীবনে পরিবর্তন এনে দিয়েছে এবং এটি শুধু দেশীয় পর্যটকদের জন্য নয়, গোটা বিশ্বের পরিবেশপ্রেমীদের জন্য এক আদর্শ গন্তব্য হয়ে উঠেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *