রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০২:৫১ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
চিতলমারী উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের কর্মী সম্মেলন চিতলমারীতে ধর্ষনের শিকার এক বিবাহিত নারী চিতলমারীতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ  চিতলমারীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানে ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত ইসলামী আন্দোলন নেতা মুজিবর রহমান শামীম এর পবিত্র হজ¦ব্রত পালন উপলক্ষ্যে দোয়া মাহফিল। চিতলমারীতে খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার শিক্ষা ও আইসিটি এর মত বিনিময় সভা চিতলমারীতে দলিল লেখকগণের শুদ্ধাচার নৈতিকতা ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক অভ্যন্তরিন প্রশিক্ষণ চিতলমারী উপজেলা ভূমি মেলা ২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জরুরি বৈঠক প্রধান বিচারপতির ‘পদত্যাগ করতে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পা ধরেছিলেন শেখ রেহানা’

ফলের মাছি পোকা দমনে নতুন প্রযুক্তি

রিপোর্টারের নাম / ১৪ টাইম ভিউ
আপডেট সময়: রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০২:৫১ পূর্বাহ্ন

ফলের মাছি পোকা দমনে ‘ফ্রুট ফ্লাই ট্র্যাপ’ নামে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কীটতত্ত্ববিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল মঞ্জুর খান।

ফলের মাছি পোকা ফল শিল্পের বিকাশে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা। মাছি পোকার সংক্রমণের কারণে বাংলাদেশের আমসহ বিভিন্ন ফল ইউরোপ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানিতে সমস্যা হয়।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাছি পোকা দমনে নানান পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ- অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকায় মাছি পোকা দমনের জন্য ‘মাসট্র্যাপিং পদ্ধতি’ ব্যবহৃত হয়, যেখানে বিশেষ ধরনের ট্র্যাপে পুরুষ পোকা আকৃষ্ট করে ধ্বংস করা হয়। ফলে স্ত্রী পোকাগুলো প্রজনন করতে পারে না এবং ধীরে ধীরে এদের সংখ্যা হ্রাস পায়। বাংলাদেশে প্রচলিত ট্র্যাপের মধ্যে সাধারণত লিউর এবং সাবান-পানি ব্যবহৃত হয়, যার কার্যকারিতা বজায় রাখতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

ড. মঞ্জুর খান তার গবেষণায় দেখেছেন যে, প্রচলিত পদ্ধতির পরিবর্তে নতুন উদ্ভাবিত ট্র্যাপ ব্যবহার করা গেলে অধিক কার্যকর ফলাফল পাওয়া যাবে। তার উদ্ভাবিত ট্র্যাপের মূল বৈশিষ্ট্য হলো এতে মাছি পোকা মারার জন্য কোনো রাসায়নিক উপাদান (কীটনাশক) বা পানি ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না। লিউর কর্তৃক আকৃষ্ট হয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছি পোকা খুব সহজেই উদ্ভাবিত ট্র্যাপে প্রবেশ করতে পারে; কিন্তু ট্র্যাপের বিশেষ গঠনশৈলীর কারণে পোকাগুলো একবার ট্র্যাপে প্রবেশ করলে আর বের হতে পারে না। যার ফলে পোকাগুলো ওই ট্র্যাপের ভেতরে আটকে পড়ে পরিশেষে মারা যায়।

গবেষক ড. মঞ্জুর খান আরও জানান, এই ট্র্যাপের উৎপাদন এবং কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে সর্বমোট ৫০ টাকার মতো ব্যয় হতে পারে, যা খুবই সাশ্রয়ী এবং কৃষকদের কাছে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের সুযোগ তৈরি করবে। এই ট্র্যাপ এতটাই টেকসই যে একবার কিনে কৃষক এটি জমিতে কমপক্ষে পাঁচ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবে। তবে শুধু ট্র্যাপের ভেতরের লিউর পরিবর্তন করতে হবে।

গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, এটি কুমড়া, লাউ, করলা, তরমুজ, বাঙ্গি, আম, পেয়ারা এবং ড্রাগন ফলসহ বিভিন্ন ফসলে সফলভাবে প্রয়োগ করা সম্ভব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *