বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
চিতলমারীতে মাসিক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত  একজন বাবা “একরামুল হক মুন্সী” চিতলমারীতে সরকারী বীজ বিতরণ ‎ আমি আপনাদেরই সন্তান, আপনাদের সেবা করতে চাই: মোল্লা মুজিবর রহমান শামীম ‎কোডেক ক্লাইমেট চেইঞ্জ অ্যাডাপটেশন প্রজেক্টের উদ্যোগে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা সেবা মাদকমুক্ত সমাজ ও কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিলেন ইঞ্জি: মাসুদ রানার হিজলায় উঠান বৈঠক: তারেক রহমানের ৩১ দফায় ঐক্যের আহ্বান ‎চিতলমারীতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মতবিনিময় সভা: আন্দোলন বেগবান করতে কমিটি গঠন চিতলমারীতে গাঁজাসহ নারী আটক  প্রত্যাশিত সংস্কার না হলে দেশের অনিয়ম ও দূর্নীতি রোধ করা সম্ভব নয়: কুষ্টিয়ায় বিআরপি’র কর্মী সমাবেশ নেতৃবৃন্দরা

বাগেরহাট-১ আসন, বিএনপি ও সমমনা জোটের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী চুড়ান্ত

রিপোর্টারের নাম / ৯৭৩ টাইম ভিউ
আপডেট সময়: বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন

“মো: একরামুল হক মুন্সী”
চিতলমারী, মোল্লাহাট ও ফকিরহাট উপজেলা নিয়ে বাগেরহাট-১ নির্বাচনী সংসদীয় আসন গঠিত। এই আসনে পলাতক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা নিশিরাতের ভোট চুরি নির্বাচনের মাধ্যমে রাম-রাজত্ব কায়েম করে ছিলেন। কখনও নিজে, আবার কখনও তার চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দীনকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছেন। পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ১৯৯১ সালে এই আসন থেকে তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. মো. মোজাম্মেল হোসেন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা এই আসন থেকে নির্বাচিত হন। উপ নির্বাচনে তার চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দীন এখানে সংসদ সদস্য হন। ২০০১- ২০১৪ এবং ২০১৮ রাতের ভোটে শেখ হেলাল উদ্দীনকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করা হয়। শুধুমাত্র ১৯৯৬ সালে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান নির্বাচিত হয়েছিলেন।তার মাত্র দেড় মাস পরে সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। পরের
নির্বাচনে শেখ হাসিনা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আর সেই থেকে দীর্ঘ সময় ধরে দেশী, বিদেশী ষড়যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেন শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার । বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের মামলা, হামলাও হত্যার মধ্যে দিয়ে দেশ পরিচালনায় ব্যার্থ হয়ে শেখ হাসিনা অবশেষে বিগত ৫আগষ্ট ২০২৪ ছাত্র-জনতার তোপের মুখে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এরপর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূস দেশের অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের দায়িত্ব গ্রহনণ করেন।
দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনী ব্যবস্থাকে দ্রুত ফিরিয়ে আনতে ইতিপুর্বে লন্ডনের একটি হোটেলে বসে দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ও অন্তর্বতীকালিন সরকার প্রধান ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর মধ্যকার একটি সফল বৈঠক হয়। এ বৈঠকে ২০২৬ সালের প্রথম দিকে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্টিত হবে বলে জানাযায়, তারই ধারাবাহিকতায় সারাদেশের ন্যায়,
বাগেরহাট-১ চিতলমারী, মোল্লাহাট ও ফকিরহাট সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতই ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বিএনপির সমমনা শরীকদল বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি, জাতীয় সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে প্রচারণা শুরু করেছেন। ইতিপুর্বে এই আসনটিতে বাংলাদেশ জামায়াতই ইসলাম এর দাঁড়ি পাল্লা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন মাও: মশিউর রহমান এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর হাত পাখা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন আলহাজ্ব মুজিবর রহমান শামীম।
বিএনপি: মোল্লাহাটের কৃতি সন্তান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক সাংসদ শেখ মুজিুবুর রহমান, প্রবীন এই রাজনৈতিক আগষ্ট পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী দলের প্রতিটি কর্মকান্ডে বিএনপির নিবেদিত প্রাণ হিসেবে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাহস যুগিয়েছেন। তিনি আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী। পারিবারিক ঐতিহ্য ও সামাজিক অঙ্গনে তার রয়েছে অনেক জনপ্রিয়তা।
এ্যাড: ওয়াহিদুজ্জামান দিপু : বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, ঢাকা হাইকোর্টের প্রখ্যাত আইনজীবি, বাগেরহাট বার কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি এবং পাবলিক প্রসিকিউটার ছিলেন। তিনিও আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী। সরেজমিন সূত্রে জানাগেছে, ঐতিহাসিক ৫ আগষ্টসহ পূর্ববর্তী ও পরে দেশের দক্ষিণাঞ্চল বাগেরহাট -১ আসনের তৃনমূল নেতাকর্মী যখন আওয়ামী মামলা-হামলায় জর্জরিত ছিলেন সে সময় এড. ওয়াহিদুজ্জামান দিপু সে সকল নেতাকর্মীদের আইনী সহায়তা দিয়ে আসছিলেন। সভা-সমাবেশে অংশ গ্রহণ এবং অসচ্ছল নেতাকর্মীদের মাঝে তার সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা ছিলো চোখে পড়ারমত। বর্তমান তিনি দলে জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রোনিক্স মিডিয়ায় তার টক শো সংলাপগুলো নেতাকর্মীদের মন উজ্জীবিত করেছে।
চিতলমারীর কৃতি সন্তান মঞ্জুর মোর্শেদ স্বপন ঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান বাগেরহাট জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য। যিনি জিয়া পরিবারের একজন নিবেদিত প্রাণ বলে পরিচিত । বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও আগামীর দেশ নায়ক, তারুন্যের অহংকার তারেক রহমানের বিগত দিনগুলোতে বাংলাদেশের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে সফর সঙ্গী হিসেবে যার ছিলো উল্লেখ যোগ্য ভূমিকা তিনি হলেন মঞ্জুর মোর্শেদ স্বপন। স্বপন ২০০১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাগেরহাট-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। বর্তমানেও তিনি দলের সর্ব্বোচ্চ নীতি নির্ধারকদের প্রতি মনোনয়ন প্রত্যাশায় অপেক্ষামান রয়েছেন বলে একটি বিশেষ সূত্র থেকে জানাগেছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের দুর্দিনের কান্ডারী হিসেবে স্বপন ছিলেন মোল্লাহাট-ফকিরহাট- চিতলমারী তথা বাগেরহাট জেলার প্রতিটি স্তরের বিএনপি ও বিএনপি সমমনা মানুষের প্রাণের স্পন্দন। তার দান-অবদান সমূহ ছিলো সামাজিক-সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অত্যন্ত সমাদৃত। বিগত ৫ আগষ্ট ও আগষ্ট পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী ঢাকার রাজপথসহ নিজ এলাকায় ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলনেও রাজপথে তিনি সক্রিয় ছিলেন।
চীফ ইঞ্জিনিয়ার নৌ’ এড. মাসুদ রানা : যিনি বাগেরহাট জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-১ আসনে ধানের শীষের প্রতীকে মনোনয়ন নিয়ে পতিত শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দীনের সাথে প্রতিদ্বদ্বীতা করেন। এড. মাসুদ রানা এ আসনের তৃণমূল বিএনপির নিবেদিত প্রাণ । দলের দুর্দিনে তার আত্মত্যাগ ও নিরলস পরিশ্রম নেতাকর্মীদের অনুপ্রাণীত করেছে। তিনি পূনরায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী। স্বৈরচার শেখ হাসিনা সরকার পতনে রাজপথে রয়েছে তার অগ্রণী ভূমিকা।
চিতলমারীর কৃতি সন্তান বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এস.এম.শাহাদাত : বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার কৃতিসন্তান জাতীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদল বিএনপির সমমনা জোটের অন্যতম নেতা ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পাটির চেয়ারম্যান, এস.এম. শাহাদাত বাগেরহাট-১ আসন থেকে ধানেরশীষ প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছেন। তিনি আগামি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে হারানো এই আসনটি পূন:রুদ্ধার করতে চান। তিনি জানান, তারুন্যের অহংকার তারেক রহমান তাকে এই আসনে ধানের শীষ প্রতীক উহার দিলে তিনি এই আসনটি পূন:রুদ্ধার করতে সক্ষম হবেন। তিনি ইতিপুর্বে এলাকার সাধারণ ভোটারদের মাঝে কুশালাদী বিনিময়সহ গরীবদের মাঝে ঈদবস্ত্র-শীতবস্ত্রসহ আর্থিক সহযোগিতা করে আসছেন। এস.এম. শাহাদাত জানান, বিগত দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চিতলমারীর প্রার্থী বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় ফকিরহাট ও মোল্লাহাটে ভাল ভোট পেলেও চিতলমারী থেকে ধানের শীষের প্রার্থীরা বিশাল ব্যবধানে হেরেছে । ইতোমধ্যে বাগেরহাট-১ এ জামায়াত ও ইসলামী জোটের প্রার্থী চিতলমারী থেকে নমিনেশন পেয়েছেন । সেক্ষেত্রে চিতলমারী থেকে ধানের শীষের প্রার্থী মনোনয়ন না দিলে অন্য দলের প্রার্থীরা বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে যাবে । তাই চিতলমারী থেকে সৎ যোগ্য দক্ষ কর্মী বান্ধব প্রার্থী মনোনয়নের জোর দাবি জানান তিনি ।
চিতলমারীর কৃতি সন্তান মুজিবর রহমান শামীম: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন চিতলমারী উপজেলা পরিষদ এর সাবেক চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট শিল্পপতি মুজিবুর রহমান শামীম। মঙ্গলবার (৮ জুলাই ২০২৫) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার নাম ঘোষণা করা হয়। চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন দলটি তাকে এই গুরুত্বপূর্ণ আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে নির্বাচন মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মুজিবুর রহমান শামীম বলেন, “ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী ও দেশপ্রেমিক জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতেই আমি নির্বাচন করতে যাচ্ছি। উন্নয়ন, ন্যায়বিচার ও জনসেবার রাজনীতি প্রতিষ্ঠাই আমার মূল লক্ষ্য।”
এখানে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় ও পরিচিত মুখ হওয়ায় মুজিবুর রহমান শামীমের প্রার্থিতা এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর হাত পাখা প্রতীক নিয়ে চুড়ান্ত ভাবে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। তিনি উপজেলা পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান ও উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। মুজিবুর রহমান শামীম সরকারি কাজের পাশা-পাশি তার নিজস্ব অর্থায়নে এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তা-ঘাটসহ সকল প্রকার “জনহিতৈষী” কাজ করে তার এলাকায় এক অনণ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

 

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *