রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
চিতলমারী উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের কর্মী সম্মেলন চিতলমারীতে ধর্ষনের শিকার এক বিবাহিত নারী চিতলমারীতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ  চিতলমারীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানে ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত ইসলামী আন্দোলন নেতা মুজিবর রহমান শামীম এর পবিত্র হজ¦ব্রত পালন উপলক্ষ্যে দোয়া মাহফিল। চিতলমারীতে খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার শিক্ষা ও আইসিটি এর মত বিনিময় সভা চিতলমারীতে দলিল লেখকগণের শুদ্ধাচার নৈতিকতা ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক অভ্যন্তরিন প্রশিক্ষণ চিতলমারী উপজেলা ভূমি মেলা ২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জরুরি বৈঠক প্রধান বিচারপতির ‘পদত্যাগ করতে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পা ধরেছিলেন শেখ রেহানা’

রোজা রেখে রান্নার স্বাদ বা লবণ দেখা যাবে?

রিপোর্টারের নাম / ১৩ টাইম ভিউ
আপডেট সময়: রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন

রোজা রেখে রান্না করার কারণে রোজা ভেঙে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই তরকারির লবন দেখেন না। ফলে ইফতারিতে অথবা রাতের খাবারে লবন বেশি হলে পরিবারের অন্যদের কষ্ট পোহাতে হয়।

সত্যিই কি রোজা রেখে লবন চাখলে রোজা ভেঙে যায়? নাকি রোজা রেখে তরকারির লবন চাখা বৈধ আছে, আজকে আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করবো।

এর সঠিক ও গ্রহণযোগ্য উত্তর হচ্ছে— অন্যদের কষ্ট হওয়ার আশঙ্কা হলে রোজা অবস্থায় তরকারির লবণ দেখার অবকাশ আছে। এতে রোজা ভঙ্গ হবে না। তবে লবণ দেখে সঙ্গে সঙ্গে থুতু ফেলে দিতে হবে। প্রয়োজনে কুলিও করে নিতে হবে।

খেয়াল রাখতে হবে, খাবারের অংশ যেন গলাতে চলে না যায়। অন্যদের কষ্টের আশঙ্কা না হলে এমনিতেই রোজা অবস্থায় প্রয়োজন ছাড়া জিহ্বা দ্বারা স্বাদ না দেখা উচিত।

শাইখ ইবনে উছাইমীন বলেন, খেজুর, রুটি, ঝোল ইত্যাদি কোন খাবার প্রয়োজন ছাড়া চেখে দেখা মাকরুহ। প্রয়োজন থাকলে অসুবিধা নেই। এর কারণ হচ্ছে- খাবারের কিছু অংশ পেটে চলে যেতে পারে; হয়তবা ব্যক্তি নিজেও উপলব্ধি করতে পারবে না।

এভাবে এ খাবার চেখে দেখা তার রোজাকে নষ্ট হওয়ার সম্মুখীন করে দিতে পারে। অন্যদিকে খাবারটি অতি সুস্বাদু হলে মজা নেয়ার জন্য আবার চেখে দেখতে পারে, হতে পারে খুব জোরে টান দিতে গিয়ে খাবারের কিছু অংশ পেটের ভিতরে চলে যাবে।

প্রয়োজনের স্বরূপ- যেমন কেউ যদি বাবুর্চি হন; যাকে খাবারের লবণ বা স্বাদ যাচাই করতে হয়; এ জাতীয় কোন প্রয়োজন।

সূত্র: মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদিস ৯৩৮৫, ৯৩৮৬; আলমুহিতুল বুরহানি ৩/৩৫৬; তাবয়িনুল হাকাইক ২/১৮৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৯৯


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *