মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:১১ অপরাহ্ন
মোঃ একরামুল হক মুন্সী:
মুষল ধারে বৃষ্টি কিংবা কাঠফাটা রোদ হোক বা না হোক, বিলে গিয়ে শাপলা তাকে তুলতেই হবে। না হলে সংসার চালানো বড়ই দায়। স্ত্রী, সন্তান ও বৃদ্ধা মাকে নিয়ে ৬ সদস্যের পরিবারের ঘানিটানতে হয় তাকে। এক কথায় বর্ষাকালিন সময়ে তাদের“শাপলায় কাপড়, শাপলায়ই ভাত”। একথাগুলো বলছিলেন, বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সীমান্তবর্তী পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার সাচিয়া গ্রামাস্ত বিল পাড়ের নরেন্দ্রনাথের ছেলে ভবেন্দ্রনাথ ওরফে ভবেন (৫৫)।
ভবেন প্রতি বুধ ও শনিবার সাচিয়ার বিল থেকে শাপলা তুলে তা বিক্রি করতে আসেন চিতলমারীহাটে। সে কারনে তার সাথে আমার দেশ চিতলমারী উপজেলা প্রতিনিধির আলাপ হয়।
আলাপ কালে ভবেন আরো জানান, তিনি প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে নৌকায় চড়ে শাপলা তুলতে বিলে চলে যান। সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০ টার মধ্যে বাড়ি ফেরেন। বাড়িতে সকালের নাস্তা খাওয়ার মাঝে পরিবারের লোকজন শাপলা বিক্রির জন্য হাট বাজারে যেতে সব কিছু গুছিয়ে দেন।
বর্তমান শাপলার বাজার মুল্য মোটা-মুটি ভালো। প্রতি মুঠি শাপলা ১০ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি করছেন বলেও জানান তিনি। বাজারে বেশি আমদানি হলে মুল্য কমেযায়। ভবেন বলেন, প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ মুঠি শাপলা তোলা যায়, যার বিক্রয়মুল্য বাবদ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পাওয়া যায়।
গ্রীস্মকালিন সময় কি ধরনের কাজ করা হয় জানতে চাওয়ায় ভবেন জানান, সে সময় যে ধরনের কাজ পাই তা করি; বিশেষ করে কৃষি কাজে বেশী সময় দিয়ে থাকি। শত কষ্টের মাঝেও সন্তানদের পড়া-লেখা করিয়ে করিয়ে যাচ্ছি।