মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:১১ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
চিতলমারীতে মাসিক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত  একজন বাবা “একরামুল হক মুন্সী” চিতলমারীতে সরকারী বীজ বিতরণ ‎ আমি আপনাদেরই সন্তান, আপনাদের সেবা করতে চাই: মোল্লা মুজিবর রহমান শামীম ‎কোডেক ক্লাইমেট চেইঞ্জ অ্যাডাপটেশন প্রজেক্টের উদ্যোগে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা সেবা মাদকমুক্ত সমাজ ও কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিলেন ইঞ্জি: মাসুদ রানার হিজলায় উঠান বৈঠক: তারেক রহমানের ৩১ দফায় ঐক্যের আহ্বান ‎চিতলমারীতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মতবিনিময় সভা: আন্দোলন বেগবান করতে কমিটি গঠন চিতলমারীতে গাঁজাসহ নারী আটক  প্রত্যাশিত সংস্কার না হলে দেশের অনিয়ম ও দূর্নীতি রোধ করা সম্ভব নয়: কুষ্টিয়ায় বিআরপি’র কর্মী সমাবেশ নেতৃবৃন্দরা

‘শাপলায় কাপড়, শাপলায়ই ভাত’

রিপোর্টারের নাম / ১৫৯ টাইম ভিউ
আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:১১ অপরাহ্ন

মোঃ একরামুল হক মুন্সী:
মুষল ধারে বৃষ্টি কিংবা কাঠফাটা রোদ হোক বা না হোক, বিলে গিয়ে শাপলা তাকে তুলতেই হবে। না হলে সংসার চালানো বড়ই দায়। স্ত্রী, সন্তান ও বৃদ্ধা মাকে নিয়ে ৬ সদস্যের পরিবারের ঘানিটানতে হয় তাকে। এক কথায় বর্ষাকালিন সময়ে তাদের“শাপলায় কাপড়, শাপলায়ই ভাত”। একথাগুলো বলছিলেন, বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সীমান্তবর্তী পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার সাচিয়া গ্রামাস্ত বিল পাড়ের নরেন্দ্রনাথের ছেলে ভবেন্দ্রনাথ ওরফে ভবেন (৫৫)।
ভবেন প্রতি বুধ ও শনিবার সাচিয়ার বিল থেকে শাপলা তুলে তা বিক্রি করতে আসেন চিতলমারীহাটে। সে কারনে তার সাথে আমার দেশ চিতলমারী উপজেলা প্রতিনিধির আলাপ হয়।
আলাপ কালে ভবেন আরো জানান, তিনি প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে নৌকায় চড়ে শাপলা তুলতে বিলে চলে যান। সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০ টার মধ্যে বাড়ি ফেরেন। বাড়িতে সকালের নাস্তা খাওয়ার মাঝে পরিবারের লোকজন শাপলা বিক্রির জন্য হাট বাজারে যেতে সব কিছু গুছিয়ে দেন।
বর্তমান শাপলার বাজার মুল্য মোটা-মুটি ভালো। প্রতি মুঠি শাপলা ১০ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি করছেন বলেও জানান তিনি। বাজারে বেশি আমদানি হলে মুল্য কমেযায়। ভবেন বলেন, প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ মুঠি শাপলা তোলা যায়, যার বিক্রয়মুল্য বাবদ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পাওয়া যায়।
গ্রীস্মকালিন সময় কি ধরনের কাজ করা হয় জানতে চাওয়ায় ভবেন জানান, সে সময় যে ধরনের কাজ পাই তা করি; বিশেষ করে কৃষি কাজে বেশী সময় দিয়ে থাকি। শত কষ্টের মাঝেও সন্তানদের পড়া-লেখা করিয়ে করিয়ে যাচ্ছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *