মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩০ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
চিতলমারীতে মাসিক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত  একজন বাবা “একরামুল হক মুন্সী” চিতলমারীতে সরকারী বীজ বিতরণ ‎ আমি আপনাদেরই সন্তান, আপনাদের সেবা করতে চাই: মোল্লা মুজিবর রহমান শামীম ‎কোডেক ক্লাইমেট চেইঞ্জ অ্যাডাপটেশন প্রজেক্টের উদ্যোগে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা সেবা মাদকমুক্ত সমাজ ও কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিলেন ইঞ্জি: মাসুদ রানার হিজলায় উঠান বৈঠক: তারেক রহমানের ৩১ দফায় ঐক্যের আহ্বান ‎চিতলমারীতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মতবিনিময় সভা: আন্দোলন বেগবান করতে কমিটি গঠন চিতলমারীতে গাঁজাসহ নারী আটক  প্রত্যাশিত সংস্কার না হলে দেশের অনিয়ম ও দূর্নীতি রোধ করা সম্ভব নয়: কুষ্টিয়ায় বিআরপি’র কর্মী সমাবেশ নেতৃবৃন্দরা

বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ফাতেমার গ্রামের বাড়ী চিতলমারীতে চলছে শোকের মাতম

রিপোর্টারের নাম / ১৮২৫ টাইম ভিউ
আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩০ অপরাহ্ন

মো: একরামুলহক মুন্সী:
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ফাতেমা আক্তর আনিশার (৯) গ্রামের বাড়ী চিতলমারীতে চলছে শোকের মাতম। সোমবার (২১ জুলাই) তার মৃত্যুর খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে স্বজনদের আহাজারিতে চিতলমারীর কুনিয়া গ্রামের আকাশ ভারি হয়ে ওঠে। অনাকাক্সিক্ষত এমন মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছেনা।
নিহত ফাতেমা আক্তার আনিশা মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের বাংলা ভার্ষনের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী ছিল। এবং উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের কুনিয়া গ্রামের কুয়েত প্রবাসী বনি আমিন ও রোপা দম্পতির বড় মেয়ে। মেয়ের দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বাবা বনি আমিন শেখ কুয়েত থেকে প্রিয় সন্তান কে দেখতে দ্রæত দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার ভোরে ফাতেমার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে আনা হলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের আবতারনা হয়। মেয়ে ফাতেমার চিরবিদায় মেনে নিতে পারছেনা মা রুপা। তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে আছেন। মাঝেমধ্যে চোখ খুলে চারদিকে অবাক তাকিয়ে থাকছেন। আবার মূহুর্তেই মূর্ছা যাচ্ছেন। ঘরের এদিকে আর্তনাদ করে মেয়ের কফিনে বাবার চুমু খেয়ে অশ্রæসিক্ত নয়নে শেষ বিদায় যানাচ্ছিলেন বাবা বনি আমিন । এসময় পরিবার ও প্রতিবেশীদের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। সকাল ১০টায় কুনিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন কবর স্থানে জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
নিহত ফাতেমার মামা স্বপন মীর কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার ভাগ্নী কে ডাক্তার বানানোর স্বপ্ন ছিল। দুর্ঘটনার পর আমি এবং বোন বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজাখুজি করেছি। পরে একটি হাসপাতালে গিয়ে দেখি তার নিথর লাশ । তিনি জানান ফাতেমা আক্তার তিন ভাই বোনের মধ্যে সবার বড় ছিল।
ফাতেমা আক্তার আনিশার চাচা জানান, সকালে ভাতিজির মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এবং বেলা ১০টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এই ঘটনায় গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *