মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩০ অপরাহ্ন
মোঃ একরামুল হক মুন্সী:
বাগেরহাটের চিতলমারী সদর হাসিনা বেগম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি সুলতানা মল্লিকের বিরুদ্ধে দুর্ণীতির অভিযোগ ও তার বিচারের দাবিতে, বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের সড়কে একটি মানববন্ধন করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষক-কর্মচারীদের ব্যানারে রবিবার (৩আগষ্ট) বেলা ২টায়, এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি সুলতানা মলিকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সমূহ উল্লেখ করা হয় তাহলো। ২০১৩ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় একযুগ ধরে বিদ্যালয়ের ভূমি দখল, অর্থ আত্মসাত, শিক্ষক-কর্মচারীদের উপর অমানসিক নির্যাতন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে।
প্রায় ২ঘন্টা ব্যাপি এই মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শৈলেন্দ্র নাথ বাড়ৈ বলেন, সুলতানা মল্লিক দীর্ঘ ১২ বছরে অনেক অর্থ লুন্ঠন করেছেন। যে অর্থের পরিমান আনুমানিক ২ কোটি টাকারমত । তিনি বিদ্যালয়ের ২৩শতাংশ জমিও তার বাবার নামে রেকর্ড করে নিয়েছেন। সভাপতি থাকাকালিন তার দুর্ণীতির প্রতিবাদ করা সম্ভব হয়নি। যেহেতু তিনি ছিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেত্রী। তার স্বামী বর্তমান পুলিশের এসপি।
বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক শামীম শেখ বলেন সাবেক সভাপতি সুলতানা মল্লিকের দুর্ণীতি বলতে গেলে আনেক সময় পেরিয়ে যাবে। এই প্রতিষ্ঠান ধ্বংশ করারজন্য এমন কোন দুর্ণীতি নাইযে, তিনি না করেছেন। বিনিময় লুটে নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা ও বিদ্যালয়ের সম্পত্তি।
অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জ্যোতি বলে, বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি সুলতানা মল্লিকের যত সময় না” এই কোটি টাকার দুর্ণীতির বিচার হবে, ততো দিন তার বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
নবম শ্রেণীর অপর শিক্ষার্থী জানায়, সুলতানা মল্লিকের বিচার তারা দেখতে চায়। যত দিন বিচার না হবে ততো দিন শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলমান থাকবে। প্রায় ২ঘন্টা ব্যপি মানববন্ধনের পর শিক্ষার্থীরা ইউএনও অফিসের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে । এ সময় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইউএনও তাপস পাল এর দপ্তরেএকটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এব্যপারে জানতে সুলতানা মল্লিকের ফোনে বারবার রিং দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।