বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন
– জুডান চন্দ্র মণ্ডল
প্রবাদে একটি কথা মাঝে মধ্যে কিছু মানুষের বুভুক্ষু হৃদয় থেকে প্রকাশ পায়, ‘হে-স্বারথী কোথায় তোমার রথ।’ যে রথ আজ যুদ্ধ জাহাজ, হেলিকপ্টার, বিমান জেট বিমান নাম করন করেছে শুধু তাই নয় বলা চলে, বিশ^ আজ ডিজিটালাইজড রুপে দৃশ্যমান সৃষ্ট হয়েছে আকাশ যান, স্যাটেলাইট সহ বহু উন্নয়ন মুলক যস্ত্রাংস, অপরূপ সকল সৃষ্টি ধংশ হতে পারে সর্বপরী তার নাম-‘পরমানু বোম।’
কিন্তু কেন? মানুষ হয়ে ধংশের লোলুপ পেশী শক্তির প্রভাব খঁটিয়ে যে অর্জন স্বীকৃত হয় সেই অর্জন কতটুকু সময় স্থায়ীত্ব হয়? না বরং সেই অপশক্তি ঘৃনার আকার ধারন করে এবং শুভক্তির উদ্ভাবন ঘটে। যা-বর্তমান ও বিগত ইতিহাস তার জলন্ত স্বাক্ষ্য বহন করে। তাই আমার অভিপ্রায়, যারা রাজনীতি করেন যাদের হাতে আমরা সাধারন জনগন দেশ পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দেই। অমরা মনে করি এইবার একটি শুভ শক্তির উদ্ভাবন আমরা সাধারন জনগন অবশ্যই পাব। কিন্তু কি পাচ্ছি আমরা? পাচ্ছি যে কথাটি প্রবাদে বলে ‘যে যায় লঙ্কায়, সেই হয় রাবণ।’ তবে রাবণ যতই শক্তিশালী হোন না কেন অপশক্তি কখনো স্থায়ীত্ব হয় না যারা রাজনীতি করেন আমি মনে করি তারা উক্ত কথাটি জানেন। তথাপিও কেন? স্মরণ থেকে হরন হয়ে কিসের মোহে বলা চলে ৯০ শতাংশ মানুষ আজ হলেন অভিনেতার ভূমিকায় উদিয়মান ? যার ফুলকী ধারা আজ বিশ^ ব্যাপী দৃশ্যমান। অভিজ্ঞতার দৃষ্টিকোন থেকে বয়সের দীর্ঘ আলোক সূত্রিতার মধ্য থেকে ইতীহাস যে বাস্তব দৃষ্টান্ত একটু দেরীতে হলেও সত্যের শুভ শক্তি দৃশ্যমান হয়ই তথাপিও কেড়ে খাওয়া, চুরী করা, খুন করা, গায়ের অপশক্তির দ্বারা সত্য ঘটনাকে মিথ্যায় রুপান্তরিত করা এবং মিথ্যাকে সত্যে পর্যভূষিত করা এর কোন ঘটনাকে লুকিয়ে রাখা গেছে কি? দেখা যায়, যারা রাজনীতি করেন তারা উদর ঘাড়ের দোষ ভুদোর ঘাড়ে চাঁপাতে ব্যস্ত থাকেন তবে তার মধ্যে যে সত্য-মিথ্যা থাকে না তাও নয়। তবে দেখা যায়, পেশী শক্তির বদৌলতে অনাকাঙ্খিত অনুমেয় ৯০% ছুয়েছে বাকি ১০% কাঙ্খিত শুভ চেতনা সমুদ্রের তলদেশে নিমজ্জিত। দেখা যায় যে যত বেশি শক্তির অধিকারী সে তত সম্মানের অধিকার হচ্ছেন শুধু তাইই নয় অর্থের প্রাচুর্যও গড়চ্ছেন, তবে কি সৃষ্টির প্রলয় খুবই সন্নিকটে? বলা বাহুল্য যারা রাজনীতি করেন তারা আত্মকেন্দ্রিকতা তথা সাম্প্রদায়িকতা বর্জন করতে না পারলে যতই মানবতার বুলি ছোড়েন অভিনেতার ভূমিকার প্রকাশ পায়ই! পরিশেষে বলি মানব দেহ গঠিত পঞ্চ আত্মা ও ষড় ঋপু দ্বারা। এদের চাওয়া পাওয়া প্রকারভেদও এক এক রকম। তার মধ্যে সৎ আত্মা ও সৎ ঋপু দুটি মানব কল্যানের প্রধান উৎস ভেবে মনে করা হয় বাকি ঋপুগুলো মানব জীবনে বিভিন্ন ভাবে পরিচালিত করার ফলে বহুবিধ অশুভ দন্ডে দন্ডিত হতে হয়, যা আমাদের মত সাধারন মানুষের চেয়ে যারা রাজনীতি করেন তারা ভাল বোঝেন বলে মনে করি। তথাপিও কি দেখছি আজকের বিশ^ বাজারে? দেখছি মানব কল্যানের বদৌলতে আত্মকেন্দ্রিক স্বার্থসিদ্ধির রুপকার বাণী। এরুপ ভিলেনের কাছে আমাদের অনুরোধ আমরা বাঁচতে চাই। বলতে চাই- যে ফেসিবাদ সরকার বিদায় করতে বৈষম্য হীন দেশ গড়ার সফলতা অজর্ন করেছি। সেই বৈষম্য দূর করতে পেরেছি কি? যদি সেই বৈষম্য সাম্প্রদায়িকতা স্বমুলে বর্জন করতে পারি – দেশের কল্যান তবেই অভিসম্ভাবী। (কবি-নাট্যকার- সাংবাদিক)