মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩০ অপরাহ্ন
চিতলমারী সরকারি এস.এম. মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ৫২তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা–২০২৫-এ ফুটবল খেলায় জেলা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। এই সাফল্যের মাধ্যমে বিদ্যালয়টি শুধু চিতলমারী নয়, পুরো বাগেরহাট জেলাকে গর্বিত করেছে।
১৩ অক্টোবর ২০২৫, বাগেরহাট জেলা সরকারি স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিযোগিতার জেলা পর্যায়ের খেলা।
দিনব্যাপী উত্তেজনাপূর্ণ এই টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচে মোড়েলগঞ্জ ১–০ গোলে বাগেরহাট সদরকে পরাজিত করে ফাইনালে জায়গা করে নেয়। অপরদিকে, চিতলমারী এস.এম. মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ট্রাইব্রেকারে ৬–৫ গোলে রামপাল ফুটবল একাদশকে হারিয়ে সেমিফাইনাল জয়ের পর ফাইনালে ওঠে।
বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিযোগিতার ফাইনাল। দর্শকে পরিপূর্ণ মাঠে চিতলমারী এস.এম. মডেল উচ্চ বিদ্যালয় দারুণ লড়াইয়ে ১–০ গোলে মোড়েলগঞ্জ ফুটবল একাদশকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জয় করে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চমৎকার কৌশল, দক্ষতা ও মনোমুগ্ধকর পারফরম্যান্স দর্শকদের মুগ্ধ করে তোলে।
পুরো আয়োজনের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাফিজুর রহমান, গৌতম মালাকার, প্রণয় কুমার রায় প্রমুখ। খেলা উপভোগ করেন চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জনাব মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, উপজেলা প্রকৌশলী জনাব মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জনাব মোঃ মফিজুর রহমান। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক জনাব তাপস কুমার খাঁন, নবীন শিক্ষক গৌতম মালাকার ও প্রণয় কুমার রায়।
খেলোয়াড়দের সার্বক্ষণিক প্রশিক্ষণ ও অনুপ্রেরণায় ছিলেন বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক জনাব জাহাঙ্গীর হোসেন বিন্দু। মাঠে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের অসংখ্য শিক্ষার্থী, প্রাক্তন ছাত্র ও স্থানীয় দর্শকবৃন্দ।
বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সকল খেলোয়াড়, শিক্ষক ও সহযোগীদের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানো হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জনাব মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এই অর্জন শুধু একটি ট্রফি নয় – এটি আমাদের শিক্ষার্থীদের পরিশ্রম, শৃঙ্খলা ও ঐক্যের প্রতীক।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক গৌতম মালাকার বলেন, আমাদের ছাত্ররা মাঠে যেমন দক্ষতা দেখিয়েছে, তেমনি মানসিক দৃঢ়তা ও দলগত চেতনার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
চিতলমারী সরকারি এস.এম. মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের এই ঐতিহাসিক জয় আগামীতে উপজেলা ও জেলার তরুণ প্রজন্মকে খেলাধুলায় আরও অনুপ্রাণিত করবে বলে সকলেই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।