রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০১:০৮ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
চিতলমারী উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের কর্মী সম্মেলন চিতলমারীতে ধর্ষনের শিকার এক বিবাহিত নারী চিতলমারীতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ  চিতলমারীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানে ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত ইসলামী আন্দোলন নেতা মুজিবর রহমান শামীম এর পবিত্র হজ¦ব্রত পালন উপলক্ষ্যে দোয়া মাহফিল। চিতলমারীতে খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার শিক্ষা ও আইসিটি এর মত বিনিময় সভা চিতলমারীতে দলিল লেখকগণের শুদ্ধাচার নৈতিকতা ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক অভ্যন্তরিন প্রশিক্ষণ চিতলমারী উপজেলা ভূমি মেলা ২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জরুরি বৈঠক প্রধান বিচারপতির ‘পদত্যাগ করতে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পা ধরেছিলেন শেখ রেহানা’

গঙ্গা নিয়ে যা করেছে ভারত, কখনো বাংলাদেশকে জানানোরও প্রয়োজন মনে করেনি

রিপোর্টারের নাম / ২১ টাইম ভিউ
আপডেট সময়: রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০১:০৮ পূর্বাহ্ন

বাংলার মানুষ পানি আগ্রাসনের কবলে পড়তে যাচ্ছে এটা আজ থেকে ৪৯ বছর আগেই আঁচ করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। তাই ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের পরপরই রুখে দাঁড়িয়েছিলেন ভাসানী।তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অসংখ্য কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এর মধ্যে তার অবিস্মরণীয় কীর্তি ‘ফারাক্কা লং মার্চ’।

মওলানা ভাসানী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলেন না। তিনি খেটে খাওয়া মানুষের নেতা হিসেবে সাধারণ মানুষকে ডাক দিয়ে বলেছিলেন, শিশুর যেমন মায়ের দুধে অধিকার, পানির ওপর তোমাদের তেমনি অধিকার। তোমরা জাগ্রত হও তোমাদের প্রকৃতি প্রদত্ত শাশ্বত অধিকার যে হরণ করেছে তার বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়াও। এই ডাক শুনে পুলিশের চাকরি থেকে ছুটি নিয়ে ‘লং মার্চ’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন নদী গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী। সেই লং মার্চের অভিজ্ঞতা ও দীর্ঘদিনের পানি বন্টন সমস্যার সমাধান নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন যুগান্তরের সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মানিক রাইহান বাপ্পী।

যুগান্তর: ‘ফারাক্কা লং মার্চ’ কর্মসূচি কিভাবে এলো?

মাহবুব সিদ্দিকী: ভারত মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলায় ফারাক্কা বাধ নির্মাণ শুরু ১৯৬১ সালে এবং ১৯৭৫ সালে শেষ হয়। এটি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত থেকে ভারতের ১৮ কিলোমিটার ভেতরে গঙ্গা নদীর ওপর অবস্থিত। এই বাঁধের প্রভাবে শুকনো মৌসুমে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পানির জন্য হাহাকার তৈরি হয়।এরপরই ছিয়াত্তরের ১৮ই এপ্রিল হাসপাতাল থেকে ফেরার পর মওলানা ভাসানী ঘোষণা দেন, ভারত যদি বাংলাদেশকে পানির অধিকার থেকে বঞ্চিত করে তাহলে তিনি লংমার্চ করবেন। পরে ১৬মে এই কর্মসূচির ডাক দেন।

যুগান্তর: সেই লং মার্চে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

মাহবুব সিদ্দিকী: পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে তখন গাইবান্ধা থানায় কর্মরত ছিলাম। তার আগে থেকেই মওলানা ভাসানীর প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা ও তার ভক্ত ছিলাম। ভাসানীর কথা শুনা ছিল নেশার মতো। পরে ছুটি নিয়ে লং মার্চে অংশ নেওয়ার জন্য রাজশাহী চলে আসলাম। এর আগে ১৯৬৭ সালের পর থেকে রাজশাহীতে যতবার ভাসানী সাহেব এসেছিলেন প্রতিবারই আমি সাক্ষাৎ করেছি।

যুগান্তর: হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লং মার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন ভাসানী। এ বিষয়ে কিছু বলবেন?

মাহবুব সিদ্দিকী: দক্ষিণবঙ্গে সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল।এতে প্রায় দশ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। তখন মওলানা সেখানে খোঁজ খবর নিতে গিয়েছিলেন। তাছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন। এজন্য অসুস্থ হওয়ার পর থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই লং মার্চে অংশ নিয়েছিলেন।

যুগান্তর: ফারাক্কা লং মার্চ কর্মসূচি রাজশাহী টু কানসাট কেন?

মাহবুবু সিদ্দিকী: যেহেতু রাজশাহীর পাশেই গঙ্গা নদী। গঙ্গ নদীর ওপরেই ফারাক্কা বাধ হয়েছিল। প্রথম ধাক্কাটা কিন্তু এই অঞ্চলের প্রকৃতি ও মানুষের ওপর পড়েছে। এজন্য রাজশাহীকে বেছে নেওয়া হয় লং মার্চের শুরু স্থান।

যুগান্তর: ভাসানী সাহেব কখন ও কিভাবে লং মার্চে অংশ নিলেন?

মাহবুব সিদ্দিকী: ১৬ মে ‘লং মার্চ’ শুরু হবে। তার আগের দিন অর্থাৎ ১৫ মে ভাসানী রাজশাহীতে আসলেন। তার জন্য সার্কিট হাউসে ব্যবস্থা করা হয়েছিল কিন্তু সেখানে তিনি থাকেননি। বিজ্ঞ একজন রাজনীতিবিদ হয়েও সাধারণের মতো একজনের বাড়িতে রাত কাটালেন। লং মার্চ উপলক্ষ্যে লোকনাথ স্কুলে ক্যাম্প করা হয়েছিল। সেখানে সব ধরনের আয়োজন ছিল। সেখানে উপস্থিত হয়ে সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন। সবার কাছ থেকে নানা ধরনের সমস্যার কথা শুনলেন। দু-তিন ঘণ্টা পর তৎকালীন রাজশাহীর ডিসি ও এসপি আসলেন ভাসানীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। এতক্ষণ দেরি করে আসার পরও ডিসি এসপির ওপর যে তিনি রাগ করেছেন সেটা তাদের বুঝতে দেননি। স্বাভাবিকভাবে কুশল বিনিময় করছেন।

এক পর্যায়ে ডিসিকে জিজ্ঞেস করলেন, রাজশাহী শহরের কতগুলো খাস পুকুর আছে? (এটা ছিল সাইকোলজিক্যালি ডিসিকে শিক্ষা দেওয়া) উত্তরে ডিসি বললেন, হুজুর, আমার মাত্র কয়েকমাস হয়েছে এখানে পোস্টিং।

আরেকটি প্রশ্ন করলেন ডিসিকে, আচ্ছা বলুনতো চলন বিলের গভীরতা কত? প্রশ্ন শুনে নির্বাকের মতো চেয়ে থাকলেন ডিসি। উত্তর দিতে পারলেন না। এসব প্রশ্ন করার উদ্দেশ্য ছিল দেরি করে আসার জন্য সবার সামনে বেকায়দায় ফেলা। একপর্যায়ে ডিসি দেরি করে এসেছেন এটি অনুধাবন করতে পেরে ভাসানীর কাছে ক্ষমা চাইলেন এবং দোয়া নিলেন। পরে আবার আধাঘণ্টা পর ডিসি ও এসপি স্ত্রীকে নিয়ে এসে ভাসানীর কাছ থেকে দোয়া নিলেন।

যুগান্তর: লং মার্চের ৬৪ কিলোমিটার যাত্রা কেমন ছিল ?

মাহবুব সিদ্দিকী: পর দিন ১৬ মে রাজশাহী মাদ্রাসা ময়দানে লক্ষাধিক লোকের সমাবেশ ঘটল। ঠিক সাড়ে ১১টার দিকে যাত্রা শুরু হলো। রিক্সায় উঠলেন ভাসানী। কিছু রাস্তা যাওয়ার পর বৃষ্টি শুরু হলো। চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৌঁছার পর খিচুড়ি খাওয়া হলো। মহানন্দা নদী নৌকা যোগে পার হলেন।

মূলত ফারাক্কাটা ছিল শিবগঞ্জের মনাকষার দিকে। পাগলা নদীর ওপর ব্রিজ ছিল না এজন্য যাওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে মিছিলটি মনাকষার দিকে না গিয়ে কানসাট হাইস্কুল মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।এটা ছিল একটা প্রতীকী প্রতিবাদ।

যুগান্তর: এই কর্মসূচি বৈশ্বিকভাবে কেমন প্রভাব ফেলেছিল?

মাহবুব সিদ্দিকী: লং মার্চ কর্মসূচির খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার হয়েছিল। ফলে বিশ্ব নেতারা জানলেন, ফারাক্কার কারণে আন্তর্জাতিক নদীর পানি বেশির ভাগ অন্যদিকে চলে যাচ্ছে। দেশকে মরুকরণের দিকে নিয়ে যাওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এটা জাতিসংঘ পর্যন্ত আলোচনা উঠেছিল। এর ফলে ১৯৭৭ সালে গঙ্গা নিয়ে একটা চুক্তি হলো। সেই চুক্তিটা শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশের জন্য ভালো চুক্তি ছিল। বাংলাদেশের জন্য মর্যাদা ও সম্মানের ছিল। সেই চুক্তিতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কটাও ছিল। পানির জন্য আমাদের বেগ পেতে হয়নি।

কিন্তু ১৯৮২ সালে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে আবার নতুন করে চুক্তি হয়। এরশাদের আমলে চুক্তিতে ভারত যেভাবে চেয়েছে সেভাবেই হয়েছে এতে বাংলাদেশ খুব একটা লাভবান হয়নি। তারপর ১৯৯৬ সালে যেটা চুক্তি হলো সেটা আরও অসম চুক্তি হলো।

যুগান্তর: পানি বন্টন নিয়ে আন্তর্জাতিক আইনে কী বলা আছে?

মাহবুবু সিদ্দিকী: আন্তর্জাতিক পানি আইন ১৯৯৭ সালে প্রণীত অনুযায়ী উজানের যেসব দেশ যা কিছু করবে ভাটির দেশকে অবগত করেই করবে। এ পর্যন্ত ভারত গঙ্গা নিয়ে যা করেছে একটা বিষয়ও বাংলাদেশকে জানানোর কোনো প্রয়োজন মনে করেনি। শুধু গঙ্গার ওপর কাজ করলে জানাতে হবে এমনি নয়, একটি ছোট ব্রিজ করতে হলেও ভাটির দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে জানাতে হবে। তাতে রেলওয়ে বা স্থল ব্রিজ হোক কিন্তু তা ভারত করে না। উপনদীর ওপর কোনো বাধ দিলেও ভাটির দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে জানাবে এটা আমাদের অধিকার।

যুগান্তর:  ফারাক্কা বাধ নিয়ে কিছু বলবেন?

মাহবুবু সিদ্দিকী: ১৯৭৫ সালে ফারাক্কা থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে খাল কেটে পানি সরিয়ে নেয় ভারত। সেই খালে ফারাক্কার পানি চলে যাচ্ছে। তারপরে আবার ভাটিতে এসে ফারাক্কা বাধ দেওয়া হয়েছে। সেখানে ১০৯টি গেট রয়েছে। তারমধ্যে ২-৩টি গেট খোলা থাকে।বাকী সব বন্ধ রাখে ভারত। আর ভরা বর্ষায় সব গেট খুলে দেয় ভারত। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে তা করে না। এক কথায় ভারতের যখন পানির দরকার নেই, তখন গেট খুলে দেয়। সে পানি ঢুকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয় বাংলাদেশ।

যুগান্তর: এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে বাংলাদেশের করণীয় কিছু আছে ?

মাহবুব সিদ্দিকী: হাঁ, অবশ্যই আছে। ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক নদী বিষয় আইন প্রণীত হয়েছে। এ আইনটি ভাটির দেশ হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে রয়েছে। অথচ বাংলাদেশ এখনো স্বাক্ষর করেনি। সর্বশেষ স্বাক্ষর করেছে ভিয়েতনাম। তারপরই এটা আইনে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এ আইন অনুযায়ী উজানের দেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা ও অভিযোগ জানাতে পারবে। কিন্তু স্বাক্ষর না করার কারণে বাংলাদেশ নীতিগত অবস্থানে নেই।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিৎ হবে, তারা এ আইনের পক্ষে স্বাক্ষর করা। ভারতের সঙ্গে যে পানি নিয়ে জটিলতা সেটা অনেকটা সহজ হয়ে যাবে। আন্তর্জাতিকভাবে আমরা অনেক শক্তিশালী হব।

যুগান্তর: ভারতের সঙ্গে পানি জটিলতা নিরসনে আর কোনো পথ খোলা আছে?

মাহবুব সিদ্দিকী: ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি যৌথ নদী কমিশন আছে।এই কমিশনের কয়েকমাস পর পর বৈঠক হওয়া উচিৎ। কিন্তু বছরে পর বছর পার হয়ে যায় কিন্তু কোনো বৈঠক হয় না এই কমিশনের। অথচ ভারতের সঙ্গে আমাদের অনেক আন্তর্জাতিক নদী আছে। সরকারি স্বীকৃত ৫৪টি নদী দেখালেও বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গে ছোট বড় সবমিলিয়ে ১৩৪টি নদী পেয়েছি। নদীর সংখ্যা নিয়েও আলোচনা হওয়া দরকার এই কমিশনে। যৌথ নদী কমিশনের অনেক সদস্যর এগুলো নিয়ে কোনো চিন্তাভাবনা নেই। শুধু নামকাওয়াস্তে মেম্বার হয়ে আছেন। তারা আবার অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তারা গড্ডালিকা প্রবাহে চলছে। অথচ দেশের স্বার্থে এগুলো সুরাহা হওয়া উচিৎ ছিল।

যুগান্তর: গঙ্গার ৩০ বছরের পানিবণ্টন চুক্তি শেষ হবে ২০২৬ এ। এবার নতুন চুক্তি কিভাবে সম্পন্ন হলে ভাসানীর স্বপ্ন  বাস্তবায়ন হবে বলে মনে করেন?

মাহবুবু সিদ্দিকী: গঙ্গাচুক্তি আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে হবে। এই চুক্তিটি যখন হবে তার আগে ১৯৯৭ সালে আন্তর্জাতিক আইন পাস হয়েছে সেটার পক্ষে যেন বাংলাদেশ স্বাক্ষর করে আসে। এটা হবে পানি সংকট নিরসনের প্রথম আশু পদক্ষেপ।

দ্বিতীয়ত ২০২৬ সালে যে গঙ্গা চুক্তি হবে সেটার জন্য আগাম প্রস্তুতি নেওয়া। শুধু সরকারের কয়েকটা মন্ত্রণালয়ের যে লোকজন আছে শুধু তাদের নিয়ে নয়, দেশের অনেক নদীর ওপর অগাধ পাণ্ডিত্য রয়েছে এবং যারা নদী নিয়ে চিন্তাভাবনা করেন। বিশেষজ্ঞ মানুষ আছেন তাদের খুঁজে বের করতে হবে। অথচ ভারত এগুলো নিয়ে ব্যাপক হোম ওয়ার্ক করে থাকেন। আর বাংলাদেশে এগুলো নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই।

ভারত যে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে সেগুলো তুলে ধরতে হবে। চুক্তিতে ‘গ্যারান্টি ক্লজ’ থাকতে হবে। পানির নিশ্চয়তা দিতে হবে। ভারত যদি বলে পানি নেই এটা আমরা মানব না। ফারাক্কার পাশে ভারতে যে খাল কেটেছে সেটা আগে বন্ধ করতে হবে। তারপর ফারাক্কা পয়েন্টে যে পানিটা আসবে সেটা থেকে বন্টন হবে।

যুগান্তর: মওলানা ভাসানীর থেকে তরুণ প্রজন্মের কিছু নেওয়ার আছে কি?

মাহবুব সিদ্দিকী: মওলানা ভাসানী হলো একটা অবিস্মরণীয় নাম। শুধু বাংলাদেশে নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে এ রকম একজন ব্যক্তির আর্বিভাব খুব কম ঘটে। উনি রাজনীতি করেছেন নীতির ওপরে। গণমানুষের রাজনীতি করেছেন। দলের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা যদি নীতিভ্রষ্ট হতেন তাহলে প্রতিবাদ করে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতেন। প্রয়োজনে ভিন্নদল প্রতিষ্ঠা করেছেন। উনি একজন আমার কাছে শিক্ষক। উনাকে আদর্শ হিসেবে সামনে রেখে একটা রাষ্ট্র গড়তে হবে। তরুণ প্রজন্মকে এই শিক্ষা নিতে হবে। প্রাইমারি থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ভাসানী সম্পর্কে জানা বাধ্যতামূলক করা উচিৎ।

যুগান্তর: আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

মাহবুব সিদ্দিকী: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *